সোমবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৫ ১৪৩২   ০৯ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৫

ঢাকা-৮ এ প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

তরুণকণ্ঠ অনলাইন

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫  

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির সোম যোগ্যতার অবস্থানে না পৌঁছানো পর্যন্ত ইনকিলাব মঞ্চের কেউ ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। তিনি বলেন, ‘কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নিয়ে আমরা নির্বাচনে দাঁড়াইতে চাই না। ইনকিলাব মঞ্চ কোনো দিন সিমপ্যাথির রাজনীতি করবে না। এটার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

 

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)  বিকেলে শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন তিনি। এর আগে দুপুর সোয়া ২টা থেকে ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ইনকিলাব মঞ্চ। গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিন একই দাবিতে তারা এই কর্মসূচি পালন করছে।

 

আবদুল্লাহ আল জাবের জানান, অনেকেই ঢাকা-৮ আসনে ইনকিলাব মঞ্চের প্রার্থী চান। তবে তিনি মনে করেন, ইনকিলাব মঞ্চ রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টিকারী আন্দোলন। তিনি বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ইনকিলাব মঞ্চের প্রার্থী ছিলেন না; স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ছিল তার। ইনকিলাব মঞ্চ ক্ষমতার কাছে নিজেকে সমর্পণ করবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

তার ভাষায়, ওসমান হাদি ব্যক্তিগত রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসেননি; বরং দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির ধরন পুনর্গঠনের প্রত্যাশা নিয়ে সামনে এগোচ্ছিলেন। আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেন, আগামী দিনের রাজনীতির রূপরেখা নির্ধারণেও ভূমিকা রাখবে ইনকিলাব মঞ্চ।

 

বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রত্যেক দলের নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকতেই পারে, তবে জনগণ এখন হাদি হত্যার বিচার চায়। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি দলগুলো বিচারের পক্ষে সোচ্চার না হয়, তাহলে জনগণ পরবর্তী নির্বাচনে তাদের সোচ্চার হতে বাধ্য করবে।

 

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, যারা কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে শহীদ ওসমান হাদির নাম ব্যবহার করতে চান, তারা সফল হবেন না। জনগণ এখন আবেগ নয়, অতীত ও বর্তমানের হিসাব মিলিয়েই ভোট দেবে।

 

তিনি অভিযোগ করেন, যারা খুনিদের জামিন নিশ্চিত করেছে বা টকশোতে ওসমান হাদিকে ‘গিনিপিগ’ বলে হেয় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তার মন্তব্য, জানাজায় এসে উপস্থিত থাকা যথেষ্ট নয়, দায়ও নিতে হবে।

 

উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শীতের এই সময় ঢাকায় ন্যূনতম তাপমাত্রা বিরাজ করছে, আর ‘রাষ্ট্র যেন কম্বলের নিচে ঘুমাচ্ছে’; কিন্তু জনগণ পাহারাদারের মতো শাহবাগে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি দাবি করেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ‘রাঘববোয়ালদের’ নাম প্রকাশ করতে হবে, নইলে ‘১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না’।

 

শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভোগান্তির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিকল্প পথ থাকায় শাহবাগ অবরোধ নতুন কোনো সংকট সৃষ্টি করছে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই শীতের মধ্যে মানুষ কি ভাড়ায় এনে বসানো সম্ভব? তার বক্তব্য, হাদি হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ এখান থেকে সরে যাবে না।

 

আইন উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই মামলার আসামিদের জামিন দেওয়া হয়েছে। আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও ‘দায় এড়ানো সম্ভব নয়’।

 

এই বিভাগের আরো খবর